Purchase!

প্রেমের কবিতা

কবিকে কে শেখায় প্রেম
প্লেটো বলেছিলেন, ‘প্রেম মারাত্মক মানসিক ব্যাধি’ আর সক্রেটিসের মতে ‘প্রেম হলো পাগলামি’। শত বছর আগে ১৯১৫ সালে সিগমুন্ড ফ্রয়েড বললেন, প্রেমে পড়া বলতে আমরা যেটা বুঝি সেটা না কি এক ধরনের অসুস্থতা, পাগলামি, বিভ্রম কিংবা অন্ধত্ব- যা প্রেমে পড়া একটি লোকের মধ্যে দেখা যায়।
By সাবেরা তাবাসসুম
Category: কবিতা
Paperback
Ebook
Buy from other retailers
About প্রেমের কবিতা
কবিকে কে শেখায় প্রেম
প্লেটো বলেছিলেন, ‘প্রেম মারাত্মক মানসিক ব্যাধি’ আর সক্রেটিসের মতে ‘প্রেম হলো পাগলামি’। শত বছর আগে ১৯১৫ সালে সিগমুন্ড ফ্রয়েড বললেন, প্রেমে পড়া বলতে আমরা যেটা বুঝি সেটা না কি এক ধরনের অসুস্থতা, পাগলামি, বিভ্রম কিংবা অন্ধত্ব- যা প্রেমে পড়া একটি লোকের মধ্যে দেখা যায়। কথাগুলো বলতে হচ্ছে সাবেরা তাবাসসুমের প্রেমের কবিতা সংকলনের ‘স্মরণ’ কবিতাটি প্রসঙ্গে। পুরো কবিতাটিরই উদ্ধৃতি দেই-
‘তখন অসুখ করেছিল- আমাদের অসুখ করেছিল
আমাদের মন দুটোও নরম-নরম ছিলো
তুমি ছিলে তোমার মতন করে ঘরে
আমি ছিলাম আমার মতন করে ঘরে
দুটো ঘর মনে মনে কাছাকাছি ছিলো
দুটো মন দুটো ঘরে একটু একটু পাশে বসেছিলো
তোমার স্মৃতিতে নেই- আমাদের অসুখ করেছিলো!’
দুই ঘরের দুই আত্মা হয়তো কখনো এক হয়েছিলো, সে অসুখ না মতিভ্রম, মায়া না পাগলামি- নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। তবে এটা ঠিক সাবেরার প্রেমের কবিতায় প্রেমের অসুখটা আসে ঘুরে ফিরে। ‘অসুখ’ কবিতাটি থেকে একটু উদ্ধৃতি নেয়া যাক -
‘প্যাথলজির লোকটা টিউব ভরে রক্ত টেনে নিল, চিনির পরীক্ষা হল
সাথে পেলাম একগাদা ওষুধ আর ফোলা ফোলা ব্যথা
এই হলুদ-বেগুনির দিনে তোমরা টের পাচ্ছো আরাম
আর আমি বদলে যাওয়া লেবুরঙা হিসু দেখে ভাবি
এই তবে আমার এবারের অঘ্রাণ!
কেউ ঘুণাক্ষরেও ভাবে নি এসব, তুমি কি ভেবেছ?

তুমি জানলে না কী ভীষণ অসুখ আমার!’
কী সাহস কবির উচ্চারণে ‘লেবুরঙা হিসু’র কথা প্রেমের কবিতায় ঠাঁই পেয়ে যায়। তেমন সাহস না-হলে কি আর কবিতার শিরোনাম হয় ‘যাযাবর সাপের পিঠে চুমু’, যে কবিতায় তার উচ্চারণÑ
‘থেকে যাও একবার- শীতঘুম শেষে বেরোবার আগে
আমার পেটের ভেতর অন্তত খোলসটা পালটাও!’
সাহসটা বোধহয় প্রেম থেকেই আসে। প্রেম, প্রগল্ভতা, পাগলামি, আত্মনিবেদন ছড়িয়ে আছে সাবেরার কবিতায়।
‘মরে গিয়ে আমি একটা পেঁপে গাছ হব কিংবা নিম
তুমি নরম পাকা পেঁপে খেতে ভালোবাসো
আর নিমের শুদ্ধতা নিয়ে কেউ কখনো প্রশ্ন তোলে নি
এই রূপান্তর উৎসর্গ করা হল তোমার নামে’ (রূপান্তর)
‘রূপান্তর’র কবিতায় যেমন আত্মনিবেদন আছে ‘আয়না মহল’ কবিতায় তেমন আত্মমগ্নতা আছে। এখানে প্রেম আছে নিজের দিকে ঝুঁকে। চোখ বুঝলে আয়নায় নিজেকে দেখা যাবে না কিংবা আয়নার সঙ্গে দেখা হবে নাÑ এমত কোনো ভাবনায় কবি তাকিয়েই থাকেন আয়নায়। আয়না হয়ে ওঠে আয়নামহল কিংবা হৃদ্মহল।
‘বরং এ-ই ভালো’ কবিতায় দেখা না-হওয়াটাকেই বড় করে দেখেন কবি। মানবিক ও শারিরীক সীমায় ভৌত রান্নাঘরে পড়ে থাকেন কবি-
‘যা আছে, আহা, সামান্য পিঁপড়া-প্রাণে
মধু ভালোবেসে মুখ থুবড়ে থাকা!’
অন্যদিকে সংশয় আর সংবরণ কেটে যায় ‘ক্ষুধা’ কবিতায়। সেখানে কবির উচ্চারণ সোচ্চারÑ
‘আমি বললাম, হাভাতের রোজনামচা আমাকে শেখাতে এসো না।’
কবিকে কে শেখায় প্রেম? কবিতার সংসারে প্রেমের পাঠের বিচিত্র রূপের অঙ্গনে পাঠক তোমার নিমন্ত্রণ ।

মুম রহমান
Creative Dhaka
  • Copyright © 2025
  • Privacy Policy Terms of Use